আগামীকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে আগের মতোই চামড়া কিনবে ট্যানারি মালিকরা। এছাড়া আগামী ২২ আগস্ট এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে চামড়ার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা বসে বকেয়া অর্থ পরিশোদের বিষয়টি সমাধান করবেন।
রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চামড়া শিল্পে কোন সমস্যা নেই। চামড়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে, আর আজকের বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। আগামী ২২ তারিখ তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা গতানুগতিক, এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। আজকেই সব সমাধান হয়েছে। চামড়া তেমন ওয়েস্টেজ নেই। চামড়া কেনা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি দেশ যখন সম্ভাবনার দিকে এগোয়, তা ব্যাহত করতে একটি মহল সক্রিয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, এক কোটি চামড়ার মধ্যে এবার দশমিক ৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে। এবার যেহেতু গরম পড়েছে সেজন্যই ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হতে পারে।
চামড়া রফতানির বিষয়ে তিনি বলেন, অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এটা কাচাঁমাল, রফতানি করা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমরা প্রয়োজন মনে করলে রফতানি করব।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, কোরবানিতে এক কোটি চামড়া হয়। এবার তার মধ্যে ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে, মাটিতে যে চামড়া গেছে তাসহ প্রতিবছর কিন্তু ৫ হাজার চামড়া এমনি নষ্ট হয়। এবার মূলত বেশি গরমের জন্যই চামড়া বেশি নষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ২২ আগস্ট আমরা বসব। এফবিসিসিআইকে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা দুইপক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করে দেবে। যে সমস্যা ট্যানারির মধ্যে রয়ে গেছে, তা সমাধানে মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা কাজ করবে।