একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা । যা কোরবানীর ঈদ নামেই সমধিক পরিচিত । সৃষ্টাকে খুঁশি করতে পাড়া মহল্লায় করা হবে পশু কোরবাণী। আর সেই কারণেই এ ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটার সাথে কিনতে হচ্ছে নানা রকম মশলা। তবে এবার ঈদে প্রায় প্রতিটি মশলার আইটেম কিনতে হচ্ছে চড়াদামে ।
শেরপুরের মশলার বাজার খ্যাত নয়ানী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কদিন আগেই যেখানে প্রতি কেজি এলাচ কিনতে হতো ১২শ টাকা কেজি দরে সেই এলাচ এখন কিতে হচ্চে ২৩শ থেকে ২৪শ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও জিরা, তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, পাঁচফোড়ন, জয়ফল, কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, কিসমিস, পোস্তদানা, জাফরান, মোরব্বা, কাবাব চিনি, গোটা ধনিয়া, ধনিয়ার গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, শুকনা মরিচসহ সকল প্রকার মশলার মজুদ যথেষ্ট থাকলেও দাম বেড়েছে সব কিছুতেই। অন্যদিকে পেয়াজ, রসুন ও আদারও দাম বেড়েছে আগের তুলনায়।
মশলার বাড়তি দাম সম্পর্কে এক ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে মশলার চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা দাম বেড়েছে।
শহরের নয়ানী বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. লিয়াকত আলী বলেন, বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেশি। কেউ যেন দেখার নেই।
তবে এব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) শেরপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হাকিম বাবুল বলেন, দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতা। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছে মশলা জাতীয় পণ্যগুলো আমদানী নির্ভর হওয়ায় শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দাম বৃদ্ধি পায় । কিন্তু আমাদের দাবী হলো সরকার এই বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করে এবং বাজার মনিটরিং করে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করবেন।