শেরপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই জেলা হাসপাতাল, বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার গুলোতে ডেঙ্গু সনাক্তকরণের জন্য আসছে নতুন রোগী। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা। শেরপুরের বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষার সরকার নির্ধারিত ফি তদারকি ও প্রচারণা অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষার রশিদ তদারকি এবং সরকার নির্ধারিত ফি’র বেশি যাতে না রাখা হয় এব্যপারে ক্লিনিক মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের আহবান জানানো হয়। এসময় সরকার নির্ধারিত ফি’র বেশি আদায় করলে আইন অমান্যের অপরাধে নির্ধারিত শাস্তির ব্যপারেও জানানো হয়।
প্রচার অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.বি.এম এহছানুল মামুন শেরপুর টাইমসকে বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় আজ জেলা শহরের বেশিরভাগ বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষার সরকার নির্ধারিত ফি সম্পর্কে তদারকি ও প্রচারণা চালানো হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এসময় ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে শেরপুরবাসীকে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শও দিয়েছেন। তিনি বাড়ীর আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হবারও আহবান জানিয়েছেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.বি.এম এহছানুল মামুন এর নেতৃত্বে উক্ত প্রচারণা অভিযানে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজ আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারুক আল মাসুদ, এনডিসি মেজবাউল আলম ভূইয়া ও শেরপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।