“গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ, গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ, গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। গুজব রটনাকারীদের সন্ধানে গোয়েন্দা দল মাঠে রয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলে পিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন। আসুন সবাই গুজব ছড়ানো ও গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকি।”
শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দিনব্যাপি জেলার ৫ উপজেলার ৫ হাজার আলেম, ওলামা, ইমামসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এমন ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
সকালে শ্রীবরদী থানা প্রাঙ্গনে গুজব নিয়ে জেলা পুলিশের ইমাম ও শিক্ষার্থী সমাবেশের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম। ওসি রহুল আমীনের সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় আলেম ও ইমামগণ বক্তব্য রাখেন। এসময় আলেম-ওলামা ও ইমামদের শুক্রবার জুম্মার নামাজে খুতবার সময় গুজব নিয়ে গণপিটুনিতে মানুষ হত্যায় ইসলামের দিক নির্দেশনা তুলে ধরার জন্য আহবান জানান এসপি আজীম। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যের লিফলেট বিতরণ করেন।
এদিন দুপুরে শেরপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা সদরের সকল আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আলেম ওলামারা গুজব নিয়ে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় প্রচারনা চালাবে বলে পুলিশ বিভাগকে আস্বস্থ্য করেন। সমাবেশে অতিরক্তি পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, সদর ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, গুজব নিয়ে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলার ৫ উপজেলায় মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, স্থানীয় আলেম ও ওলামাদের সম্পৃক্ত করার লক্ষে পুলিশ মাঠে নেমেছে। আমাদের সদস্যরা জেলার প্রতিটি স্কুল মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার লিফলেট আমরা বিতরণ করেছি। আরও করব। তিনি বলেন, একজন মানুষকে হত্যা করা ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ সে ব্যাপারে জনসচেতনা সৃষ্টিতে আমরা ইমাম সাহেবদের সাহায্য চেয়েছি।