পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়ার দাবীতে গত ১৪ জুলাই থেকে সারাদেশের পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলছে। ফলে এক সপ্তাহ ধরে শেরপুর পৌরসভার পানি সেবা ব্যতিত সকল নাগরিক সেবা বন্ধ আছে। এতে ময়লা আবর্জনা সময়মতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় এর দুর্গন্ধে নাকাল হয়ে পড়েছেন জেলার পৌর নাগরিকরা।
শেরপুর পৌরসভার এই আন্দোলন ও কর্মবিরতির ফলে সমস্ত পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা জড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। সারা শহরে পলিথিন, কাগজ ও নানা আবর্জনায় সায়লাব হয়ে গেছে। ডাষ্টবিনগুলোতে ময়লা উপচে পড়ছে, নাক ধরে কোর রকমে রাস্তা পাড় হচ্ছে পথচারিদের। সদ্য শেষ হওয়া অতিবৃষ্টির ফলে ড্রেন, পুকুর ও পরিত্যাক্ত জলাশয় থেকে উঠে আসা বিষাক্ত আবর্জনা মানুষের পায়ের সাথে মিশে বাসাবাড়ীতে চলে যাচ্ছে। বেড়েছে মশার অত্যাচার। সব মিলিয়ে আবর্জনা, ময়লায় আর দুর্গন্ধে নাকাল শেরপুরবাসী। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই আন্দোলনের ফলে পৌরসভা কার্যালয় মূলত বন্ধ। ঠিকাদারেেদর কাজকর্ম বন্ধ, বিল তোলা যাচ্ছে না এমনকি পরিচয় পত্রটিও পাচ্ছে না পৌর নাগরিকরা। এ অবস্থা শুধু শেরপুর পৌরসভাতেই না। জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরর্দী পৌরসভার একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন পৌর নাগরিকরা।
এ ব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবু লায়েস বজলুল করিম জানান, নাগরিকদের কষ্ট দেওয়া কাম্য নয়। একটি যুক্তিক দাবীতে আন্দোলন হচ্ছে। সরকার দাবী মেনে নিলেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কাজে ফিরে যাবে।