রংপুরের পল্লী নিবাসেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়। এরশাদকে দাফনের আগে ৫টা ৪৪ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে এরশাদ। পরে দুই দিনে তার চারটি জানাজা সম্পন্ন হয়। সর্বশেষ আজ চতুর্থ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
জাতীয় পার্টির থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এরশাদকে সেখানে দাফনের অনুমতি দিয়েছে রওশন এরশাদ। একই সাথে এরশাদের কবরের পাশে রওশনের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি।
অবশ্য এর আগে এরশাদকে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফনের কথা বলা হয়েছিলো জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে। তবে এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল রংপুর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। তার সাবেক স্ত্রী বিদিশাও রংপুরে দাফন করার পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর কালেক্টরেট মাঠে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ জানাজায় শরিক হয়। জানাজার আগে থেকেই এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে হট্টগাল শুরু করেন তারা।