শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্ধুর ছোঁড়া গুলিতে আলেক মিয়া (২৪) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সে উপজেলার কাকিলাকুড়া খামারপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোহাগ (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে এবং তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে কাকিলাকুড়া খামারপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আমেরিকায় তৈরি ৭.৬২ বোরের একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া খামারপাড়া গ্রামের আল মামুনের ছেলে মো. সোহাগ (২৪) ও সালামের ছেলে আলেক পরস্পর বন্ধু। সোহাগ মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর সরকারি কলেজে ¯œাতক সম্মান শ্রেণিতে পড়ালেখা করেন। তার বাবা ঢাকায় ব্যবসা করেন। আর আলেক শ্রীবরদীতে ব্যবসা করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহাগ কাকিলাকুড়া খামারপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আলেককে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় সোহাগের সঙ্গে অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে আলেকের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহাগ তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আলেকের মাথায় গুলি করেন। এতে সে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত আলেককে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার করে এবং তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে কাকিলাকুড়া খামারপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আমেরিকায় তৈরি ৭.৬২ বোরের একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে পুলিশ।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় আলেকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে সোহাগ ও অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।