বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের ৩০৯ পদাতিক বিগ্রেডের অধিীনস্থ ৫৮ ই বেঙ্গলের উপ অধিনায়ক মেজর মো. সোহেল রানা পিএসসি’র নেতৃত্বে জিওসি’র নির্দেশনায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বিধবাপল্লীর উপর প্রমাণ্য চিত্র রচনা ও তাদের ব্যক্তি জিবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরনার উৎস হিসেবে তুলে ধরার জন্য বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে ওই স্থানটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় অলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ অন্যন্য বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং বিধবা বীরঙ্গনাগণ।
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য মেজর মো. সোহেল রানা পিএসসি অভিবাধনের মাধ্যমে আলোচনার শুরুতে বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি এবং এখনোও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছি। এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনাদের মাঝে কুশল বিনিময় করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান মুল্যায়ন করা শেষে সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরুকে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন। সাবেক কমান্ডার তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালানো হয় তা মনে হলে এখনো গা শিহরিত হয়ে উঠে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন নালিতাবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমান তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হোসেন প্রমুখ।
এসময় বীরঙ্গনা করফুলি বেওয়া (স্বামী রহিম উদ্দিন) ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণণা দিতে গিয়ে আবেগ অপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।