দুই দিনের ভারীবর্ষনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আজ শনিবার ভোরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর কচুবাড়ী এলাকার পূর্বের ৪০ ফুট বেরিবাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে কৃষকের ফসলী জমি, পুকুর, বাড়িঘর ও বাঘবেড় ইউপি পরিষদ ভবন চত্ত্বর প্লাবিত হয়েছে। এতে বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শংকিত রয়েছেন কৃষকরা।
এদিকে সকাল ১০ টার দিকে ফসলী জমি প্লাবিত হওয়ায় এলাকার ক্ষুব্ধকৃষকরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী শেরপুর নালিতাবাড়ী মহাসড়ক সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও কৃষি বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এলাকার কৃষকের সামনে তারা তোপের মুখে পরেন। পরে অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ সন্নাসীভিটা রাবারড্যাম এলাকায় অবস্থান করছে।
এলাকাবাসী ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষকের চলতি বোরো ফসল কর্তনের শেষ সময়কাল অতিবাহিত হচ্ছে। এমন সময় শনিবার রাত হতে ভারীবর্ষন শুরু হয় এবং ভোররাতেই চেল্লাখালী নদীতে পানি চলে আসে। এ সময় কৃষকের প্রায় শতাধিক একর জমির বোরো ফসল, বাড়ীঘর ও বেশ কয়েকটি পুকুর ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়।
ওই এলাকার কৃষক, আবুল কালাম, মজিবর রহমান, হারুনুর রশিদ, তোফাজ্জল, শাহজাহান, তমিজ, লক্ষন বর্মন, নিখিল বর্মন, রবিন বর্মন বলেন, কচুবাড়ী এলাকায় এই ৪০ ফুট বেরিবাধটি পৌষ মাসে ভেঙ্গেছে। এটি যদি পানি আসার আগেই মাটি ফেলে ভরাট যেত তাহলে আজ এই করুন পরিনতি দেখতে হত না। তবে যা যাচ্ছে আমাদের মত হতভাগা কৃষকেরই যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফ ইকবাল বলেন, গত বুধবার চেল্লাখালী নদীর রাবার ড্যামের রাবারের ভিতর পানি প্রবেশ করে। পরে শুক্রবার বিএডিসি চেয়ারম্যান ও শেরপুর জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরেই শনিবারের ভারী বর্ষনে কচুবাড়ী পূর্বের ভাঙ্গন স্থান দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে এলাকা প্লাবিত হয়। আমরা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্নয়ে কাজ করছি। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (বেলা ৩টা) বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।