নাঈম ইসলাম; মেঘালয় ঘেঁষা পাহাড়ি জেলা হওয়া সত্ত্বেও শেরপুরে এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কোনো অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত নির্ণয় করাতো দূরের কথা বৃষ্টির পরিমাপ, বাতাসের গতিবেগ নির্ণয়েরও নেই কোনো ব্যবস্থা।
ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন সময় বিপর্যস্ত হচ্ছে পাহাড়ি এই জনপদের কয়েকলাখ মানুষ ।
স্থানীয়রা বলছে, আবহাওয়ার সংবাদ ঠিকমতো না পাওয়ায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।
ফলে বিগত দিনের ঘূর্ণিঝড়, ক্ষরা, অতিবৃষ্টি, তাপদাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় পাহাড়ি এই এলাকার জনসাধারণের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলার শাহজাহান আলি, সাদ্দাম হোসেন বিএসসি, তাহেরা জান্নাত, মানিক মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, জেলা আবহাওয়ার তথ্য জানায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও দ্বিগুণ হয়। বিশেষ করে কৃষিতে বেশি ক্ষতি হয়।
সেভ দ্যা ন্যাচার এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ’র জেলা সমন্বয়ক রেজু তালুকদার জানান, জেলায় আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কোনো অফিস না থাকায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কে পূর্বাভাষ না পাওয়ায় বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চল ও চরাঞ্চলে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম জীবন বলেন, শেরপুরে আবহাওয়া অফিস নির্মাণ না করা পর্যন্ত এসব সমস্যার সমাধান হবে না।
তবে এ বিষয়ে শেরপুরের স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক এটি এম জিয়াউল ইসলাম বলেন,স্থানীয় জনগুরুত্বপূর্ণএই বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করবে যেন দ্রুত শেরপুরে আবহাওয়া অফিস নির্মাণ করা যায়।