শেরপুরে রাস্তায় গাড়ী থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করলে ওই গাড়ীটিকে আটক করা হবে। শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা শহরে যানজট নিরসনের লক্ষে প্রশংসনীয় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেরপুরের গুরুত্বপূর্ণ থানা মোড় থেকে টাউন হল পর্যন্ত রাস্তার ওপর কোন গাড়ী থামিয়ে যাত্রী ওঠানো বা নামানো যাবে না।
গাড়ী দাড়িয়ে রাখা যাবেনা। আর যদি কোন প্রকার যানবাহন রাস্তার ওপর দাড়িয়ে রাখা হয় তাহলে সে গাড়ীর বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম সাংবাদিকদের জানান, আমরা খেয়াল করছি শহরের এ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তাই ওই এলাকার রাস্তার ওপর কোন যাত্রী ওঠানামা করতে দেয়া হবে না। দাড়িয়ে রাখতে দেয়া হবে না কোন গাড়ী। এ জন্য জনগনকে সচেতণ করতে ইতিমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে।
উল্লেখ্য পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে জেলা শহরে যানজট অনেক কমেছে। অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে শহরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে শহরের যানজট অনেকটা মুক্ত হয়েছে।
পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই তিনি আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় শেরপুর জেলার পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক ভালো। আইন শৃঙ্কলা নিয়ন্ত্রনে রাখার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মসূচী পালন করেও সাবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। তিনি যোগদানের পরেই ফ্রেনডশিপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন, ৩০ লাখ বীর শহীদের সাথে মিল রেখে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধরে রাখার লক্ষ্যে নেয়া হয় ৩০ হাজার গাছ লাগানোর কর্মসূচী।
জাতির জনকের জন্মদিন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শিশু কিশোরদে জন্য আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী বাংলা নববর্ষে সাংবাদিকদের ডেকে মতবিনিময় এবং শুভেচ্ছা সামগ্রী প্রদান করা হয়। যা পুলিশের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম। শহরের বিশিষ্ট জনদের মাঝেও প্রদান করা হয় শুভেচ্ছা সামগ্রী। তিনি সোহাগপুর বিধবা পল্লীর বিধবা ও শহীদ পরিবারের প্রতি রাখছেন বিশেষ দৃষ্টি। প্রদান করছেন সহায়তাও।
এছাড়া যে কোন স্থানে কোনো ঘটনা ঘটলেই
সেখানে ছুটে যান পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম নিজে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানীর শিকার না হন। এর ফলে সাধারণ মানুষ পুলিশ সুপার তথা জেলা পুলিশের প্রতি খুবই খুশি।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, দায়িত্ব সবসময়ই মানুষের জন্য আসে না। আমি এখন দায়িত্ব পেয়েছি, আমি ভাল কিছু করতে চাই। যা পরবর্তীতে যেন মানুষ মনে রাখে এবং অনুসরণ করেন। মানুষ যাতে হয়রানীর শিকার না হন, সেদিকে আমার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।