ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট(ময়মনসিংহ) : যথা সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়াই পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। স্থবির হয়ে পড়েছে দুই উপজেলা হালুয়াঘাট-নালিতাবাড়ির লাখো মানুষের যোগাযোগ। হালুয়াঘাট উপজেলা সদরের মূল কেন্দ্রবিন্দুতেই অবস্থিত পাগলপাড়া ব্রীজ। হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢলে নির্মানাধীন এই ব্রীজ দিয়ে পারাপারের জন্যে যে অস্থায়ি বাইপাস রাস্তাটির ব্যাবস্থা ছিলো তাও পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়াই নতুন করে আরেকটি দুর্যোগ এসে হাজির হয়। এরই মাঝে প্রতিদিন পানি ভেঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন খেটে খাওয়া দুই উপজেলার কর্মজীবি হাজারো মানুষ।
হালুয়াঘাট মধ্যবাজারের শুটকী মহল থেকে ৫০ গজ দুরেই পাগলপাড়া নামক স্থানে গভীর নদী। এই নদী পার হয়েই যেতে হয় নালিতাবাড়ি হয়ে শেরপুর ও জামালপুরে। এই নদী পারাপারের সাথে সম্পর্কিত কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। নদীর দুইপাশে প্রশস্থ হাইওয়ে রোড। প্রতিদিন ছোট-বড় হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। তাছাড়া ঠেলাগাড়ী, রিক্সা, অটো রিক্সা, ভাড়াতিয়া মোটরসাইকেল, মাইক্রো, পাইভেটকার, নসিমন এই ধরনের ক্ষুদ্র যানের সাথে যাদের জীবিকা উতপোতভাবে জড়িত তাদের অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে খুবই শোচনীয়। রবিবার সরেজমিনে নির্মানাধীন ব্রীজটির বর্তমান অবস্থা দেখতে গিয়ে দেখা যায়- বন্ধ রয়েছে ব্রীজের কাজ। কথা বলার মত কাউকেই পাওয়া যায়নি সেখানে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির প্রবল স্রোত ভেঙ্গে একটি মাত্র কাঁচা বাঁশের উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। কাউকে আবার চাপা ক্ষোভ নিয়ে দুই পারে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কিছুই করার নেই তাদের। যাদের জীবিকা পাগলপাড়া-নালিতাবাড়ি রাস্তায় ভাড়ায় চালিত যানের উপর নির্ভরশীল কথা হয় তাদের দু’একজনের সাথে। তারা বলেন এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ এখন আর তাদের সহ্য হচ্ছেনা।
কয়েকমাস যাবত এই ব্রীজের কাজ আরম্ভ করলেও মুলত কাজের কোন অগ্রগতি নেই। এছাড়া এই ব্রীজের কাজ নির্মানাধীন অবস্থায় একজন লোক মৃত্যুবরনও করেছে বলেও জানান তারা । প্রতিদিন পারাপার করে থাকেন পাগলপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, এই ব্রীজটির অভাবে কয়েক কিলোমিটার দুর দিয়ে ঘুরে তার বাড়িতে যেতে হচ্ছে। এতে তার প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজটি যথাসময়ে নির্মান শেষ না হয়াই কেউ কেউ আবার ঠিকাদারের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে যদি যথাসময়ে দায়িত্বের সাথে এই ব্রীজের কাজটি শেষ করার ইচ্ছে করত তাহলে নদীর দুইপারের মানুষের এই দুর্ভোগ পোহাতে হতোনা। সকলের এখন একটাই দাবী অতি দ্রুত এই ব্রীজের কাজটি সমাপ্ত করে দুইপাড়ের লাখো মানুষের জীবনকে তাদের কর্মময় জীবন ফিরিয়ে দেওয়া