বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ইতিহাসের কলঙ্কজনক দিন বলা, বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর নির্দেশ বাতিল ও ৪ শিক্ষকের বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে ৭ এপ্রিল শনিবার সকালে শেরপুর সরকারী ভিক্টোরিয়া একাডেমীর কয়েকশত ছাত্র ক্লাস বর্জন করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
পরে সদর আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের কাছে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
লিখিত স্মাকলিপিতে বলা হয়, গত ১৭ মার্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা রায়হানা আক্তার ও সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে একটি ঘৃণ্য কালো দিন উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও মাসিক ৮০০ টাকা হারে পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণীর সকল ছাত্রকে বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন শিক্ষকের সাথে প্রধান শিক্ষিকার মত বিরোধ দেখা দেয়।
বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কেবিনেটের সদস্য দশম শ্রেণীর ছাত্র শাহরিয়ার ওমর শালিন দীপ জানায়, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষিকার ইন্ধনে কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামরুল হাসান মো. হারুন-অর রশিদ, মো. সাইফুল ইসলাম ও সাইদ হাসানকে বদলী করা হয়। সে আরও জানায়, ইতোপূর্বে কোচিং নিয়ে জেলা প্রশাসককে অবহতি করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে যেসব শিক্ষক ঘৃণ্য কালো দিন বলেন তাঁরা কোনভাবেই শিক্ষক হতে পারেননা। এরা জামাত শিবিরের প্রেতাত্মা। এরা থাকলে বিদ্যালয়ে জঙ্গীদের আস্তানা হবে। তাই ছাত্ররা ন্যয্য দাবী আদায়ের জন্য ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রায়হানা আক্তার বেগম জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমি এ ধরনের কোন কথা বলিনি। ওই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ছিলেন। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে মাধ্যমিকের পরিচালক ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক বিদ্যালয় পরিদর্শণে আসেন। পরে ওই চার শিক্ষককে বদলী করেন। কিভাবে তাঁরা বদলী হয়েছে আমি কিছু জানিনা।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল একই দাবীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করে।