শেরপুর-১ সদর আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকাকে প্রচারণায় বাঁধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ দুপুরে শহরের মাধবপুরস্থ তার নির্বাচনী অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় ডা. প্রিয়াংকার মা ও জেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. প্রিয়াংকা অভিযোগ করে বলেন, শুরু থেকেই আমাদের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীকে মিথ্যে ও গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করে আসছে। তার বাবা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী মূল প্রার্থী থাকলেও তাকে প্রায় সাড়ে তিন মাস যাবত বিভিন্ন গায়েবি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাই আমার বাবার বদলে দল থেকে আমাকে এ আসনের মনোনয়ন দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্রিয়াংকা জানায়, ধানের শীষের জোয়ার দেখে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর প্রত্যক্ষ মদদে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ইতিমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করেছে। এ আসনে দীর্ঘ ২২ বছর পর ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় ভোটাররা এবার উজ্জিবিত হয়ে উঠেছেন ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য। আর তাই প্রশাসনের সহযোগিতায় এ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমাদের মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং সার্বক্ষনিক ডিবি পুলিশ তার বাড়ির আশপাশ ঘিরে রেখে নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং অনেককে গ্রেফতারের ভয় দেখাচ্ছে যাতে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় কোন সমর্থক না থাকে।
এছাড়া তার এ নির্বাচনী ক্যাম্পটিতে পুলিশের হয়রানীতে কোন রকমের পোষ্টার সাঁটানো হচ্ছে না এবং এ ক্যাম্পটি গত ৪ দিন যাবত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ডা. প্রিয়াংকা অভিযোগ করেন।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: বিল্লাল হোসেন অভিযোগ অস্বিকার করে সাংবাদিকদের জানান কোন প্রার্থী বা তাদের সর্মথককে অযথা হয়রাণী করা হচ্ছেনা তবে যাদের ইতিপূর্বে মামলা বা গ্রেফতারী পরোয়ানা আছে তাদেরকে সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বাার্থেই পুলিশ গ্রেফতার করতে তৎপর আছে ।