রাস্তা-ঘাট সব থাকা সত্ত্বেও দুই ইউনিয়নের সীমান্তে খালের উপর ব্রীজ না থাকায় ইউনিয়ন দুটিকে পৃথক করে রেখেছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে একটি ব্রীজই যেন দুইটি ইউনিয়নবাসীকে পৃথক করে রেখেছে। সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলেই পাল্টে যাবে দুই ইউনিয়নের চিত্র।
এলাকাটি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন ও গৌরীপুর ইউনিয়নের দিঘীরপাড়, চতল ও বনগাঁও চতল গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাদার খাল। দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ার কারণে কোন ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ব্রীজে যানবাহন চলাচলের কোন উপায় না থাকার কারণে বনগাঁও চতল ও রামনগর চতল গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক পরিবার তাদের উৎপাদিত কৃষিজাতপণ্য বাজারজাত করার জন্য অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করে বনগাঁও বাজার হয়ে ঝিনাইগাতী বা শেরপুরে যেতে হয়।
এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় স্থানীয় কৃষকগণ। এছাড়াও ওই দুই গ্রামের বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও এ সমস্যার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ার কারণে জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে শুধু ভোটের সময় ভোট নেন। নির্বাচন পেরিয়ে গেলে তারা আর এ এলাকার কোন খোঁজ খবর নেন না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য কয়েক দফা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। শেরপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম ফজলুল হক কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
কাটাদার খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ করে দুই ইউনিয়নবাসীর এ চিরদিনের দুঃখ লাঘবের জন্য জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।