আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্তজোড়া কাশফুল জানান দিচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসবের। দশভূজা দেবীর আগমনী বার্তায় উল্লোসিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তাই দেবী দূর্গাকে বরণ করে নিতে শেরপুরের পাড়া মহল্লায় চলছে উৎসবের আমেজ।
আজ (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শেরপুরে মন্দিরে মন্দিরে চলছে দূর্গোৎসবের শেষ সময়ের প্রস্তুতি। শেষ সময়ে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমার গায়ে রঙের আঁচড়, অলংকরণ, মন্ডপ সাজানোর ডেকারেশন এবং আলোক সজ্জার কাজ। এছাড়া পূজা অর্চনার অন্যান্য কার্যাদির প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এখন অপেক্ষা কখন পুরোহিত ভক্তিমনে পূজা অর্চনা শুরু করবেন।
জেলায় এবার সদর উপজেলায় ৬৪টি, নালিতাবাড়ীতে ৩৫টি, নকলায় ১৯টি, ঝিনাইগাতীতে ১৬ টি ও শ্রীবরদীতে ৯ টি মোট ১৪৩টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামীকাল ১৫ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দূর্গা পূজা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতায় আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে দূর্গোৎসব। এদিকে পূজা উপলক্ষে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এড. সুব্রত কুমার দে ভানু শেরপুর টাইমসকে বলেন, মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পূজা প্রস্তুতির সকল পর্ব শেষ। সার্বজনীন এই উৎসব ঘিরে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রশাসনের সহযোগিতা থাকলে খুব সুন্দরভাবে শেষ হবে শারদীয় দূর্গোৎসব।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম শেরপুর টাইমসকে জানান, পূজা মন্ডপে সুশৃঙ্খলভাবে যাতে পূজা উদযাপন করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সরব। পূজা উপলক্ষে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, সাদা পোষাকে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মাঠে থাকবে।
মহালয়ায় মর্তলোকে এসে চার সন্তান নিয়ে ১০ দিন বাবার বাড়ি থাকার পর বিজয়া দশমীতে ফিরে যাবেন শক্তির দেবী দূর্গা। রঙ-তুলির শৈল্পিক আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা মনকাড়া দেবীর প্রতিচ্ছবির মতই সবকিছুর আনুষ্ঠানিকতা শেষে সম্পন্ন হবে দূর্গোৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা শেরপুরের সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী ভক্তকুলের।