শেরপুরকে একটি সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন সিলেট থেকে দীর্ঘ সীমান্ত সড়ক দিয়ে হাওড়, পাহাড় ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসতে পারবে। এই দীর্ঘ সড়কে হোটেল ও মোটেল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে শেরপুর আরো পর্যটন সমৃদ্ধ হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক। সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, পর্যটন হচ্ছে বড় আয়ের খাত। তাই আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন খাতকে কাজে লাগাতে হবে। তাই শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্র গজনী অবকাশ, মধুটিলা ইকোপার্ক নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরী করে সবাইকে আকৃষ্ট করতে হবে। উন্নয়ন মেলায় জেলা ব্র্যান্ডিং তুলসীমালা চাল ও মধুটিলা-গজনী পর্যটনের উপর স্টল স্থাপনের পাশাপাশি ঐতিহাসিক গড়জরিপাসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর বিষয়ক আলাদা স্টল রাখারও পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, সরকারের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও রেললাইন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শেরপুরেও সেগুলো হবে।
নৌ-সচিব অনুষ্ঠানে “উন্নয়নের অভিযাত্রায়, অদম্য বাংলাদেশ” এই স্লোগানে আয়োজিত উন্নয়ন মেলার জন্য থিম সং প্রকাশ করেন। এসময় তিনি সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-সাফল্য বিস্তৃতভাবে উপস্থাপন ও প্রদর্শনের জন্য জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবেব সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছারওয়ার জাহান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোঃ মাছুদ, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তাহলিমা জান্নাত, সাংস্কৃতিক কর্মী শিব শংকর কারুয়া শিবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।