শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারি বর্ষণে ফলে ভোগাই নদীর পাহড়ি ঢলে শুকানোর জন্য রাখা প্রায় ১০০ মণের মতো শুকনা মরিচ ভেসে গেছে। বুধবার ভোরে উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের রাবার ড্যামের ভাটি অঞ্চলের ৪ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কৃষকের সেচ সুবিধার জন্য নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের জামিরাকান্দা রাবার ড্যাম প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পানি আটকানো থাকে। তাই এই সময় গুলোতে রাবার ড্যামের ভাটিতে চর জেগে উঠে। তাই ভাটিতে বসবাসরত কৃষকরা মরিচ শুকানোর জন্য নদীর চর ব্যবহার করেন। যথারীতি বুধবার ভোরে মরিচ শুকানোর জন্য নদীর চরে রেখে দেয়। কিন্ত ভারি বর্ষণের ফলে রাবার ড্যাম গড়িয়ে পানির ঢল নদীর ভাটি অঞ্চলে চলে যায়।
ফলে নদীর ভাটি অঞ্চলের কোন্নগড় বড় বাড়ি, রাজাখালপার, বন্দের বাড়ি, দক্ষিণ কোন্নগড় গ্রামের ৫০ জনের মতো কৃষকের প্রায় ১০০ মণ মরিচ ভেসে চলে যায়। ফলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। রাজাখালপার গ্রামের চাঁন মিয়া বলেন, গত দুই দিন ধরে সামান্য বৃষ্টি হচ্ছিল। এই সামান্য বৃষ্টিতে হলেও নদীর চরের পানি বালু শোষণ করে নেয়।
তাই সামান্য বৃষ্টি হলে আমরা নদীর চল থেকে মরিচ তুলি না। কিন্তু গতকাল রাতে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে অনেক মরিচ ভেসে গেছে।
কোন্নগড় বড় বাড়ি গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার ২৭ মণ মরিচ নদীর ঢলে ভেসে গেছে। আমার লোকসানে পড়ে গেছি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল বলেন, গতকালের প্রচুর বৃষ্টির ফলে রাবার ড্যামের বাধঁ গড়িয়ে পানি উজানে চলে যায়। ফলে কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মণ মরিচ নদীতে ভেসে গেছে।