শেরপুর পৌর এলাকায় যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ ও শেরপুর পৌরসভার ব্যতিক্রমী উদ্যোগের আজ প্রথমদিন। পৌর এলাকায় চলাচল করা সকল ইজিবাইক/অটোরিক্সাকে সাদা ও কমলা দুই কালারে বিভক্ত দেওয়ার ফলে মাসের জোড় দিনে সাদা কালার ও বিজোড় দিনে কমলা কালার ইজিবাইক/অটোরিক্সা একদিন পর পর চলাচল করার ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ কার্যকর হওয়ায় পৌর এলাকায় ইজিবাইক/অটোরিক্সাকে ঘিরে যে অসহনীয় যানজট ছিলো তা অনেকাংশেই কম লক্ষ করা গেছে।
সম্প্রতি যানজট নিরসনে ও সচেতনেতা সৃষ্টির লক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে এ সংক্রান্ত লিফলেট বিতরন করেছেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ও শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম। এসময় তাদের সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুল, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, সমাজসেবিকা রাজিয়া সামাদ ডালিয়াসহ পৌর পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহরে মার্কেট করতে আসা গৃদ্দানারায়নপুর মহল্লার বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, এ উদ্যোগে আমরা খুব হয়েছি। এজন্য পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
কলেজছাত্রী নবীনগর মহল্লার বাসিন্দা ফাহমিদা বৃষ্টি দুপুরে বলেন, আজকে অনেক যানজট কম। যানজটের জন্য তো শহরে হাঁটাই যাইতো না। এই উদ্যোগ যারা গ্রহণ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই এবং এটি যেনো অব্যাহত থাকে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের ট্রাফিক সার্জন মো. রুবেল মিয়া জানান, শহরে যানজট নিরসনে আজ থেকে শুরু হওয়া জেলা পুলিশ ও পৌরসভার ব্যতিক্রম উদ্যোগে অনেকটাই যানজট কমে গেছে। আশা করি শহরে যানজট সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, জেলা পুলিশসহ প্রশাসনের সহায়তায় শহরে অসহনীয় যানজট নিরসনে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা অনেকটাই সফল হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে শহরবাসীর এ দূর্ভোগ দূর করা যাবে। আমি প্রশাসনসহ পৌরবাসী, ইজিবাইক/অটোরিক্সা মালিক শ্রমিকসহ সকলের সহযোগিতা কমনা করি।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম শেরপুর টাইমসকে বলেন, এ উদ্যোগটি সফল করা গেলে যানজটের দূর্ভোগ কমে আসবে এবং ইজিবাইক/অটোরিক্সা চালকদেরও আয় বেড়ে যাবে। আমরা কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করিনি। আমরা চালকদের মাঝে মোটিভেশনাল কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে এই সমস্যা সমাধান করতে চাই। আজ প্রথমদিন ছিলো তাই নিয়মভঙ্গকারী ২/১জনকে আমরা আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উদ্যোগটি সম্পর্কে বুঝিয়ে দিয়েছি যেনো পরবর্তীতে নিয়ম ভঙ্গ না করে।