জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগের ব্যাজ পরে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি কর্মীরা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তারা এসব করেছে। বিএনপির এমন কর্মকাণ্ডের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকের অফিসিয়াল পেজে নির্বাচন সংক্রান্ত এক পোস্টে এসব কথা বলেন। রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট চলাকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গতকাল তিনি তিনটি পোস্ট করেন। এর মধ্যে সিলেটের ভোট নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের কর্মীরা এমন কাজ কেন করবে, যেখানে আমরা আমাদের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত? আওয়ামী লীগ এতটা অযোগ্য দল নয়।’ প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, ‘আমরা যেটা সন্দেহ করেছিলাম, ব্যাপারটা তাই হয়েছে। আওয়ামী লীগের ব্যাচ পরে, নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে কিছু মানুষ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে গণ্ডগোল করেছে। এরা আসলে আওয়ামী লীগের ব্যাজ পরিহিত বিএনপির কর্মী যারা বিএনপির পক্ষেই ব্যালটে সিল দিয়েছে।
বিএনপি অযোগ্য দল
বরিশালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের ভোটার নম্বর ছাড়া কেন্দ্রে গিয়ে হয়রান হওয়ার ঘটনাটি তুলে ধরে দলটিকে অযোগ্য আখ্যা দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রী পুত্র লেখেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার নিজের ভোটার আইডি নম্বর জানতেন না এবং নিজের ভোট দিতে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডটিও নিয়ে আসেননি। এরপর ৪০ মিনিট ধরে তিনি কেন্দ্র আটকে রাখলেন যখন আরেকজন গিয়ে তার কার্ডটি নিয়ে আসে। বিএনপি এতটাই অযোগ্য একটি দল।’ হুমকি দিয়েছেন বুলবুল
রাজশাহীর একটি ভোট কেন্দ্রে একজন নারী আনসার সদস্যকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ধমক দেয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি লেখেন, ‘রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুল তার পক্ষে লোকদেরকে ব্যালট ছিনতাইয়ের বাধা দেয়ায় তিনি একজন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হুমকি দিচ্ছেন।’ জয় লেখেন, ‘নির্বাচনে যে অনিয়মগুলো হয়েছে, তা করেছে বিএনপি নিজেরাই।’
সূত্র: ইত্তেফাক
শে/টা/বা/জ