গত রোববার পশ্চিম শমশ্চুড়া ইউনিয়নের কোচপাড়া এলাকায় বন্যহাতি ফসলের জমি নষ্ট করার পর থেকে হাতি আতঙ্কের আছে নালিতাবাড়ীর সীমান্তবাসী। সন্ধ্যার পর আবারো হাতির পালটি এলাকায় হানা দিতে পারে বলে গ্রামবাসী ধারণা করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতে মেঘালয় সীমান্তের মাচাংপাড়া থেকে ৩০/৪০টি বন্য হাতির পাল উপজেলা পশ্চিম শমশ্চুড়া ইউনিয়নের কোচপাড়া এলাকার সমতলে নেমে আসে। এসময় পশ্চিম শমশ্চুড়া গ্রামের আসকর আলী, ইসরাফিল, নবী হোসেন, বেলায়াত হোসেন, আছর আলী, আবদুল মান্নানের ৮০ শতাংশ জমির বোরো আবাদ ও নওশেদ মিয়ার ২০ শতাংশ গম খেত খেয়ে ফেলে। এছাড়া একই গ্রামে লাববের মিয়ার ৩০ শতাংশ তরমুজ খেত পা দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে।
গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতি পালটিকে শমশ্চুড়া পাহাড়ের দিকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে হাতির পালটি শমশ্চুড়া চেংবের পাহাড় কিংবা তার আশেপাশে অবস্থান করছে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন। সন্ধ্যার পর আবারো হাতির পালটি এলাকায় হানা দিতে পারে বলে গ্রামবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য নবী হোসেন বলেন, আমরা গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে হাতির পালটিকে তাড়িয়েছি। আবার হাতি লোকালয়ে হানা দিতে পারে বলে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান বলেন, গ্রামবাসীকে নিয়ে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের কেরোসিন তেল কিনতে বলা হয়েছে।