শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শালিশি বৈঠক করতে গিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষ লোকজন শালিশের বিচারক ইউপি সদস্যকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় ও আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছে ভূমিহীন পরিবার ও ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ীতে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছেন ভ’মিহীন পরিবার ও ইউপি সদস্য।
লিখিত অভিযোগ,ভূমিহীন পরিবার ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে,ভ’মিহীন মো.আবদুল কাদির (৬০) তার পরিবার নিয়ে উপজেলার বেকীকুড়া গ্রামে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভ’ক্ত ২০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধওে বসবাস কওে আসছেন। গত ৩০ জুন প্রতিবেশি মো. ফজলুল হক(৪৫) তার বড় ভাই শামছুল হক,তার ছেলে মো.আজগর আলী,আলী আকবর(৪৮),সইজ উদ্দিন(৩৫) ও আলী আহম্মেদ(৫৫) বাড়ি গিয়ে জোড়পূর্বক বাড়ির গাছ কেটে ফেলে। এসময় তারা কাদিরের স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করেন। পরে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেন। আবদুল কাদির জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি চাতাল কলের শ্রমিকের কাজ করেন। পওে বিষয়টি পোড়াগাও ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়। চেয়ারম্যান ৯ নং ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনকে বিরোধ মিমাংসার দায়িত্ব দেন। গত ৪ জুলাই বিকেলে ইউপি সদস্যেও নেতৃত্বে বেকীকুড়া ঈদগাহ মাঠেশালিসি বৈঠক ডাকেন। প্রতিপক্ষরা শালিশি সিদ্ধান্ত না মেনে ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন ও তার ছোট ভাই মো.খবির আলীকে মারধর করেন। ওই দিন রাতে ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে মারধরের অভিযোগে ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার মো.আবদুল কাদির বাদি হয়ে ঐ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন
অভিযোক্ত ফজলুল হক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন,কাদির যে জমির ওপর থাকে সেটা মসজিদের জমি। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাদিরকে জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। শ্রমিক নিয়ে গিয়ে ছিলাম কিন্ত কাদিরের স্ত্রী উল্টা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরন করেছে। ইউপি সদস্যকে আমরা মারধর করি নাই।এটা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।
আবদুল কাদির বলেন,এটা নদীরপাড়ের খাস জমি। ৪০ বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করি। এখানে গাছ গাছালি লাগিয়েছি। বিক্রিও করেছি। আমার কাছে ফজলুল টাকা চেয়ে ছিলো। কিন্ত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হওয়ায় আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদেও অপচেষ্ঠা করছে। বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা করেছি।
ইউপি সদস্য মো.কামাল উদ্দিন বলেন,চেয়াম্যানের নির্দেশে শাসিল ডেকেছিলাম। কিন্ত ফজলুলসহ তার ভাই ভাতিজারা আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে মারধর করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেছি।
পোড়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান মো.আজাদ মিয়া বলেন,জাগয়াটা সরকারি খাস জমি। এখানে ভ’মিহীন এক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এলাকার কয়েকজন তাদেরকে উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলো। পওে ইউপি সদস্যকে শালিশ করতে বলা হয়। কিন্ত তারা বিচার না মেনে উল্টো ইউপি সদস্য ও তার ছোট ভাইকে মারধর করেছে আমি প্রয়োজনের জন্য ঢাকায় রয়েছি। এসে এ ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নিবো।
নালিতাবাড়ী থানার উপ পরির্দশক(এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন,এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অপরাধিরা এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়ে।