শেরপুরের একটি নার্সিং হোমে মাথা জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শেরপুর শহরের মাধবপুরে ফ্যামেলি নাসিং হোমে পৌরশহরের চাপাতলী এলাকার গরিব রিকশাচালক রুবেল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম মাথা হোড়া লাগা ওই যজম কন্যা শিশুর জন্ম দেন। শেরপুরের সিনিয়র গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গণি সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই ওই মাথা জোড়া লাগা যমজ নবজাতককে ভূমিষ্ট করাতে সম হন। ওই যমজ শিশুর মা আরও কিছুটা সুস্থ্য হলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু দু’জনকে খুব দ্রুতই ঢাকায় পাঠানো হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মাথা জোড়া লাগা ওই যমজ নবজাতক শিশু দু’টি জন্ম গ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্নস্থান থেকে ওই যমজ শিশু দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ ওই নাসিং হোমে ভির জমান। ওই নাসিং হোমের ১নং কেবিনে ওই দুই যমজ শিশু ও তাদের মাকে রাখা হয়েছে।
সদ্য জন্ম নেয়া যজম শিশু দু’টি ও তাদের মা সুস্থ্য রয়েছেন এবং নবজাতকরা জন্মের পর থেকে তাদের মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে বলে ওই যমজ শিশুর নানা আমিনুল ইসলাম ও নানী শিরিনা বেগম জানিয়েছেন।
ফ্যামেলি নাসিং হোমের স্বত্ত্বাধিকারী ডাক্তার এম এ বারেক তোতা জানান, শনিবার সকালে সিজারিয়ান সেকশানে যে অপারেশনটা করা হয়েছে তা ব্যতিক্রমধর্মী একটা অপারেশন। শেরপুরের প্রোপটে এ ধরনের অপারেশন আমরা সচরাচর করি না এবং করার সাহসও আমাদের নাই। কিন্তু যেহেতু গরিব রোগী। ময়মনসিংহ থেকে তারা ফেরৎ আসছে। ডাক্তার আব্দুল গণির সাহসী উদ্যোগ এবং আমাদের সবার সহযোগিতায় অপারেশনটা করার সিদ্ধান্ত নেই। ইনশাল্লাহ খুবই সুন্দরভাবে কোন ধরণের জটিলতা ছাড়া অপারেশনটা সম্পন্ন করেছি। দু’টো বাচ্চার মাথা এক সঙ্গে জোড়া লাগা। এটা জটিল একটা অবস্থা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের আমরা ঢাকায় পাঠাবো। এর আগে নবজাতক বাচ্চার যত্ন নেয়ার মত প্রসূতি মা সুস্থ্য হয়ে উঠলেই দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।