নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টঙ্গীর সেই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া ওরফে ইয়াবা বাচ্চুর দাফন শেরপুরের ঝিনাইগাতির বাড়ীতে সম্পন্ন হয়েছে ।
আজ সকাল ১০ টার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচুড়ার নুনখোলা গ্রামের বাড়ীতে তার দাফন সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
তিনি জানান ,তার বাড়ী ঢাকার উত্তরা থানাধীন দক্ষিণখান এলাকায় হলেও তিনি এক থেকে দেড় বছর আগে ঝিনাইগাতীতে বাড়ী নির্মান করে বসতি গড়ে তুলেন। সে ঢাকার উত্তরা থানাধীন দক্ষিণখান এলাকার মৃত আশ্ররাফ অালীর ছেলে । সে টঙ্গী থানার হাজীর মাজার বস্তি এলাকাসহ মাদক বিক্রির পাশাপাশি গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ করতেন।
সূত্র জানায় ,মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলতলী এলাকায় র্যাব-১ এর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু মিয়া (৩৬) নিহত হন । এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, নিশান কোম্পানির একটি সাদা রঙের জিপগাড়ি ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই মাদক ব্যবসায়ীর নামে ৯টি মামলা আছে।
র্যাব-১ এর উপঅধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, টঙ্গী এলাকায় আমাদের একটি চেকপোস্ট চলছিল। এ সময় একটি গাড়ি সিগন্যাল না মেনে পালিয়ে যেতে থাকে। গাড়ি ধাওয়া করে র্যাব। আড়াইহাজার এলাকায় পৌঁছে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে বাচ্চু ও তার সহযোগীরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে আহত হন বাচ্চু। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় বাচ্চুর কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব সূত্র জানায়, দৈনিক আমাদের সময় সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বাচ্চু। র্যাব-পুলিশের তৎপরতা বেড়ে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেটকারে করে রওনা হন তিনি।