আগামী ২৯ মার্চ শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থীত কোন প্রার্থী অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম সোহাগ (নৌকা প্রতীক)’র সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ বোরহান উদ্দিন (মোটর সাইকেল প্রতীক) নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
শেষ মুহুর্তে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে কেন্দ্র ভিত্তিক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পন্ন করেছে। ভোট গ্রহণের জন্য পিজাইটিং অফিসার, সহকারী পিজাইটিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্যে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া র্যাব ও বিজিবিও মোতায়ন থাকবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গত ২১ মার্চ বিকেলে নকলা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলম সোহাগ (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী শাহ মোঃ বুরহান উদ্দিনের (মোটর সাইকেল প্রতীক) মধ্যে নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের মতামত ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।
এ নির্বাচন উপজেলার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে এক লাখ ৫১ হাজার ২শ ৮১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সাধারণত ঝুকি পূর্ণ কোন কেন্দ্র না থাকলেও উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী উত্তেজনার কারণ বৃদ্ধমান আছে বলে দুজন প্রার্থী জানিয়েছেন।