শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপকারভোগীরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)’র মজুরি ন্যূনতম চারশত টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে (ইজিপিপি)’র মজুরি ডিজিটাল উপায়ে (জিটুপি) প্রদান বিষয়ক ‘উপকারভোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি’ সভায় এ দাবি জানান। এটুআই প্রোগাম, আইসিটি ডিভিশন ঢাকার সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা এ উপজলোয় অতি দরিদ্রদের সংখ্যায় বেশি। এখানে কোন শিল্পকারখানা নেই, বাড়তি কোন কর্মসংস্থান না থাকায় এখানকার মানুষ অভাবে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির উপকারভোগীদের মজুরি ২০০টাকা। এতে তাদের শ্রমের মূল্য হয় না, বাস্তবসম্মত মজুরি নিধারণ করা দরকার। পিছিয়ে পড়া উপজেলা হিসেবে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে কাজের সময় সীমা ও উপকারভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান ও উপভোগীদের দাবির পেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির মজুরি ন্যূনতম চারশত টাকা ও কাজের সময়সীমা ৮০দিনের স্থলে ১২০দিন করার প্রস্তাবটি এটুআই প্রোগাম ও ইজিপিপি’র কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইজিপিপি’র ডাটাব্যাজ বিশেষ্ণ সুমন কর, এটুআই গ্রোগাম কর্মকর্তা উছেন অং, ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, জহুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আইয়ুব আলী ফর্সা, নুরুল আমিন দোলা, হাবিবুর রহমান মন্টু, নুরুল ইসলাম তোতা প্রমুখ।