একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে শেখ হাসিনা জিতলে লাভ, কিন্তু হেরে গেলে কোনো ক্ষতি নেই বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রী ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। উন্নয়নের দিক দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) যথেষ্ট ভাবমুর্তি অর্জন করেছেন। সেক্ষেত্রে জনগণ অনেক খুশি। কিন্তু রাজনীতির প্রশ্নে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ। সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রের ক্ষমতার মালিক জনগণ। আজকে উনি যদি সেই জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতেন, একটা সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের নিশ্চয়তা এবং তা বাস্তবায়িত করতে পারেন তাতে কিন্তু তার ভাবমুর্তি নষ্ট হবে না। বরং সেটা আরও উন্নত হবে। এটা উন্নয়নের ভাবমুর্তির সাথে যোগ হবে। এজন্য ভবিষ্যতে তার ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।’
‘এজন্য তার এ রিস্ক নিতে হবে। এতেকরে ভাবমুর্তি বাড়িয়ে তিনি ক্ষমতায় আসতেও পারেন অন্যদিকে যদি হেরেও যান সেটা কিন্তু লস না। এটা সম্মানজনক, বলেন তিনি।
সাংঘর্ষিকের দিকে দেশ চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘সংঘাতপূর্ণ একটি অবস্থা তৈরি করার চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া পচে গেছে বলে অনেকেই যেভাবে বলছেন কিন্তু তিনি আসলে পচেননি। রাজনীতিতে প্রতিদিন তিনি জপ্রিয়তার দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছেন। কিন্তু তার স্টাইকিং পাওয়ার নেই। এখন দরকার হচ্ছে স্টাইকিং পাওয়ার। একবার যদি স্টাইকিং পাওয়ার তার হাতে আসে তাহলে তিনি শক্ত হাতেই দমন করবেন। সেটা করতে গেলে রাজনীতির রাস্তা আবার থেমে যাবে। আবার রাজপথ উত্তপ্ত হবে এবং সেখানে লাশ পরবে।’
তিনি বলেন, ‘এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু স্বদিচ্ছার বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি তাকে দিতে হবে। এটা হলে বিরোধী দল থেকেও সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা না বিএনপি নির্বাচনে গেলে এবং নির্বাচনে যদি ব্যাপক কারচুপি হয় এরপর কিন্তু আন্দোলনের দিকে দেশ চলে যাবে। নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হলে সেটা সমস্থ দেশের মানুষের জন্য বিভ্রান্তিকর। দেশের জনগণতো অবশ্যই এটা গ্রহণ করবে না।’
নাজমুল হুদা বলেন, ‘দুই নেতৃত্বের মধ্যে যতই আমরা বলি সংলাপ বা আলোচনা নয়, কিন্তু কিছু কিছু ইস্যুতে, যেখানে দেশের স্বার্থের কথা রয়েছে, সেখানে আমার মনে হয় একটা বোঝাপড়ার প্রয়োজন আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রশাসনসহ সবার সাথে সম্পর্ক আছে শেখ হাসিনার। তাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার মত তার সক্ষমতা আছে। কিন্তু আরও গণতান্ত্রিক করতে চাইলে তিনি কিন্তু পারেন। সেটা করলে তার হারানোর কিছু নেই।’