হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়া সত্বেও নিজের ইচ্ছাশক্তি ও বেসরকারী সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান ডপস’র আর্থিক সহায়তায় বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ও ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার অদম্য শিক্ষার্থী আল আমিন (১৮)।
বাবা দিনমজুর হলেও তার স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার। সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু মাত্র ২০ হাজার টাকার অভাবে থমকে ছিল তার স্বপ্ন পূরণ। তিনি এ বছর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এইচ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পান।
এ নিয়ে গতকাল রবিবার শেরপুর জেলার প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘শেরপুর টাইমস ডট কম’ এ “স্বপ্ন পূরণের সুযোগও পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর শেরপুরের সদর উপজেলার নবীনগর গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে শিক্ষক মো. আবু ইসহাকের দৃষ্টি গোচর হয়। পরে তিনি তাৎক্ষনিক আল আমিনের খোঁজ-খবর নিয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করেন।
পরে আজ সোমবার শেরপুর উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে আল আমিনের হাতে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা তোলে দেন শিক্ষক মো. আবু ইসহাক। এছাড়া ধলা ইউনিয়নের পাঞ্জুরভাঙ্গা গ্রামের মো. মজনু মিয়া আরও ২ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন আলী আকন্দ, সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনিরুজ্জামান মনির, মো. বজলুর রশিদ, আল আমিনের বাবা হাবিবুর রহমান, মো. মজনু মিয়া, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মো. জাহিদুল হক মনির প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।