অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও সংগীতশিল্পী এস আই টুটুলের বিচ্ছেদ নিয়ে নেটমাধ্যমে চলছে নানা চর্চা। গত বছর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়, এরপরই আলোচনা-সমালোচনার শুরু। তবে এসব নিয়ে আর কথা বাড়াতে চান না তানিয়া। কারণ, কাজ নিয়েই তাঁর অনেক ব্যস্ততা। বেশ কিছু নতুন প্রজেক্ট রয়েছে অভিনেত্রীর হাতে। চলতি মাসেই শুরুর কথা রয়েছে তাঁর উপস্থাপনায় জনপ্রিয় গেম শো ‘আজকের অনন্যা’। এছাড়া চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ‘তাপ’ নামে নতুন একটি সিনমোয়। এটি পরিচালনা করবেন সুমন ধর।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তানিয়া আহমেদ। সেখান থেকেই তিনি জানালেন এই কাজগুলো প্রসঙ্গে। নতুন সিনেমাটি নিয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘দুই দিন পরপর পরিচালকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সাইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসায় তা আর হয়নি। সাধারণত আমাদের দেশের সিনেমায় দেখা যায়, হিরো-হিরোইননির্ভর গল্প। এটা প্যারালাল দুই নারীর গল্প। তারপর একটা রেখায় গিয়ে মিলেছে। এটা আমার কাছে সবচেয়ে অসাধারণ লেগেছে।’
জানা গেছে, চলতি বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে ‘তাপ’-এর শুটিং। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পরিচালক সুমন ধর।
সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে তানিয়া বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমার এই বয়সে এসে আমি তো হিরোইন হিসেবে অভিনয় করব না। আমি এ রকম কিছু একটা করতে চাই, যেটার মাধ্যমে আমার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারব। আমি রায়হান খানের ছবিতেও যেটা করেছি, ওখানেও হিরো-হিরোইন আছে ঠিকই; কিন্তু অন্য যে চরিত্র আছে, একটা আমি করেছি, অন্যটা মিশা সওদাগর ভাই। আমাদের এই দুটি চরিত্র বাদ দিলে ছবির গল্পটা দাঁড়াবে না। আমি এ ধরনের কিছু একটা করতে চাই।’
‘তাপ’ ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করবে, এমনটাই ভাবনা তানিয়ার। তিনি বলেন, ‘ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে সবাইকে দেখা যাচ্ছে, ওই শিলা মাসির চরিত্রের গভীরে ঢুকে যাচ্ছেন। সবাই বলছেন, এত ন্যাচারাল, মনে হচ্ছে আপনি চরিত্রটা কাছ থেকে দেখেছেন। আসলে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। আমি আগেও যখন হুমায়ূন (আহমেদ) স্যারের ওখানে কাজ করেছি, তখন আমার সিকোয়েন্স দেখে সেটের সবাই জানে যে অভিনয় করেছি। এমনকি কান্নার ওসব দৃশ্য শেষ পর্যন্ত আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পর্যন্ত এনে দিয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, তানিয়া আহমেদ অভিনীত ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেন মেহের আফরোজ শাওন। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ