শেরপুরের শ্রীবরদীতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধানক্ষেত, সবজি ক্ষেত, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোশাইপুর, কুড়িকাহনীয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি।
ওইসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র ও অসহায় কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে প্রণোদনা এবং পূর্ণবাসন কার্যক্রমে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পরিদর্শনের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, সাবেক উপজেলা মু্ক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, গোশাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজামাল ইসলাম আশিক, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন, আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, গণামাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার পৌরসভা, গোশাইপুর, কুড়িকাহনীয়া, খড়িয়াকাজির চর, তাতিহাটি, রাণীশিমুলসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ধান, শসা, কলা বাগান, ঘর-বাড়ি সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে অনেক কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেছে। এমনিতেই ব্লাস্টের আক্রমণে অনেক কৃষক ধান ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার হঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ফসলের এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক।
সরেজমিনে উপজেলার মাটিয়াকুড়া, জঙ্গলখিলা, বাদে ঘোনাপাড়া, ধাতুয়া, জালকাটা, ষাইটকাকড়া, দক্ষিণ মাটিয়াকুড়া, কুরুয়া, কুড়িকাহনীয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ে ধান, শসা, ডাটা, কলাবাগান, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে ঘর-বাড়ি, ছিদ্র হয়েছে বসত ঘরে টিনের চাল।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে উপজেলায় বোরো ধান ২৫১৪ হেক্টর, সবজি ২৭৯ হেক্টর ও অন্যান্য ১২৬ হেক্টর জমির আবাদ সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে এবং বোরো ধান ১৬৭৬ হেক্টর, সবজি ৩১ হেক্টর ও অন্যান্য আবাদ ৫৪ হেক্টর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।