চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের উজানে এক কিলোমিটার ও ভাটির দিকে আধা কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানা হচ্ছে না।
প্রশাসন মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মেশিন অকার্যকর এবং জেল জরিমানা করলেও পরে আবারও শুরু হয় বালু উত্তোলন। এসব বালু উত্তোলনকারীরা নদীর তীর ভেঙে অথবা তলদেশে গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে প্রকৃত পক্ষে নদীতে বালু না থাকায় তারা বারবার ঝুঁকি নিয়ে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
এতে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, চেল্লাখালী ব্রিজ, ভোগাই ব্রিজ, নালিতাবাড়ী পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি বারবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় ব্যবসায়ীরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আমার মনে হয় হয়তো তারা বাধ্য হয়ে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে টাকা উঠানোর জন্যই এমন করছে। তাছাড়া লাভের লোভতো আছেই।
সার্বিক বিবেচনায় নদী, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা ও সীমান্ত সড়কে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজগুলো রক্ষা করতে হলে কমপক্ষে আগামী ৫ বছর জেলা প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর ইজারা দেয়া বন্ধ করতে হবে। তবেই এর সুষ্ঠু সমাধান হতে পারে।
(এটি একান্তই ব্যক্তিগত মতামত)
—সাংবাদিক এম. সুরুজ্জামান—