শেরপুরের নালিতাবাড়ীর পাহাড়ী খড়স্রোতা ভোগাই নদীর তীব্র স্রোতে পৌরসভার আড়াইআনী বাজার ও চকপাড়া মহলার নদী এলাকার অনেকাংশ ভোগাই নদীর ভাংগনের কবলে পড়েছে। ফলে সে অংশে স্থায়ীভাবে শহররক্ষা বাঁধ না থাকায় অতি মূল্যবান জমি ও বাড়ীঘর নদীর গর্ভে বিলিন হতে যাচ্ছে। এর সাথে নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর। মৃত- আব্দুল হালিমের ছেলে নূর মোহাম্মদের বাড়ীর টিনসেট ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভিটেমাটিহীন নূর মোহাম্মদ বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চরম হতাশায় ভূগছেন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে করা ভিটেবাড়ী নিজের চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলিন হতে যাওয়া দেখে বৃদ্ধ মাসহ বারবার ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদঁছেন। শহরের আমবাগান এলাকার অনেকেই নদীর তীরে যাদের বাড়ী তারা নদী রক্ষা বাঁধ ভাংগনের কবলে পড়েছে। ফলে তীব্র পানির স্রোতে বালির বস্তা ফেলে বাড়ীঘর রক্ষার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এর প্রভাব আবার অন্য পাড়েও পড়ছে। এদিকে গড়কান্দা এলাকার বাসষ্ট্যান্ড নামে পরিচিত নদী বাঁধও হুমকির মুখে রয়েছে।
পৌরসভার মেয়র আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, এতবড় নদী নিয়ন্ত্রন করাটা পৌর সভার পক্ষে কঠিন কাজ। তবে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, ভোগাই নদীর বাঁধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।