কদিন পরই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের উৎসব যেন আসে আগেভাগেই। অনেকের চিন্তাভাবনা প্রস্তুতি থাকে কোরবানির পশু কেনাকে ঘিরে। তবে করোনাকালীন এ সময়ে শেরপুরের স্বাস্থ্য সচেতন ও ব্যস্ত মানুষের জীবনকে সহজ করে দিতে আপনার ঘরেই নিয়ে এসেছে হাট। পরিবারের সব সদস্যকে দেখিয়েই কিনতে পারবেন এবারের কোরবানির পশুটি!
নিশ্চয়ই বিশ্বাস হচ্ছে না! এমন অবিশ্বাস্য কাজটি করার উদ্যোগ নিয়েছে শেরপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে উঠা দশআনী বাজার ডটকম । পুরো গরুর হাটকে নিয়ে এসেছে আপনার হাতের মুঠোয়। করোনা সংক্রমনের ঝুকি,যানজট, দালালদের খপ্পর, বাজার অস্থিরতা—কোনো কিছুই আর আপনাকে দেখতে হবে না। এসব ঝক্কি-ঝামেলা এড়িয়ে কোরবানির পশু কেনা যাচ্ছে এই অনলাইন বাজারেই ।কেনাকাটার কাজ শেষ হলে আলোচনা সাপেক্ষে ক্রেতার ঠিকানায় পশু পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও করে দিচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্যোক্তা মোহাম্মদ লুতফর রহমান মানিক জানান, শেরপুর জেলা শহর থেকে ১২ কিঃমিঃ দক্ষিণে এবং জামালপুর জেলা শহর থেকে ১৫ কিঃমিঃ পূর্বদিকে ঐতিহ্যবাহি দশআনী নদীর কোঁল ঘেষে অবস্থিত গ্রামীণ হাট “দশআনী বাজার”। তাজা শাক-সব্জী, তরি-তরকারি ও খাটি দুধ এর জন্য শেরপুর, জামালপুর শহর থেকে অনেকেই এখানে আসেন বাজার করতে । প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক, পিকাপ ভর্তি শাক-সব্জী চলে যায় ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বড় বড় শহরে। এছাড়াও আশে পাশের গ্রামগুলোতে পালিত হয় অসংখ্য গবাদি পশু। প্রাকৃতিক ঘাস, খড়, খুদ-কুড়ো ইত্যাদি খেয়ে গৃহস্থের পরম মমতায় বেড়ে উঠে এই সব গরু, ছাগল, হাস, মুরগী। আর এমন সব নির্ভেজাল খাটি সব পণ্য নিয়ে আমাদের এ উদ্যোগ শুরু করেছি। প্রতিটা গরু ও ছাগলের সমস্ত তথ্য আমাদের টিম দ্বারা যাচাই করা।ওয়েবে যা আছে বাস্তবেও হুবহু তাই পাবেন আমাদের ক্রেতারা ।
আমাদের সমস্ত গরু ও ছাগল আশপাশের গ্রামের প্রন্তিক কৃষকের। বর্তমানে এগুলো তাদের বাড়িতেই আছে। ক্রেতা চাইলে আমাদের অফিসে অথবা কৃষকের বাড়িতে সরাসরি গরু ছাগল দেখতে পারবেন। নিজে দরদাম যাচাই করে কিনতে পারবেন। পছন্দ করা, দরদাম করা, মুল্য পরিশোধ করা এবং আপনার বাসা পর্যন্ত পৌছানো পর্যন্ত সকল বিষয়ে আমরা তদারকি করে থাকি। পুরো প্রক্রিয়ায় ক্রেতারা ঝামেলা মুক্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ। এই সমস্ত সেবা ক্রেতারা পাবেন নামমাত্র খরচে। আমরা বিশ্বাস করি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরতে পারবো।