রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার (২৯জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এছাড়া আরো অনেক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ১. শাহাদত হোসেন (৪৮), গোয়ালঘুন্নি, মিরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ সদর ২. আবু তাহের বেপারী (৫৮), গোয়ালঘুন্নি, মিরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ সদর ৩. সুমন তালুকদার (৩৫), গোয়ালঘুন্নি, মিরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ সদর ৪. সরনা বেগম (৩৫), টুঙ্গিবাড়ি, টঙ্গিবাড়ি ৫. মুক্তা আক্তার (১৩), টুঙ্গিবাড়ি, টঙ্গিবাড়ি ৬. আফজাল শেখ (৪৮), বাঘিয়া, টঙ্গিবাড়ি ৭. মো. মনিরুজ্জামান (৪২), ছলিমাবাদ আবদুল্লাহপুর, টঙ্গিবাড়ি ৮. গোলাম হোসেন (৫০), মশরী বাজার, রামপাল, মুন্সীগঞ্জ সদর ৯. সুবর্না আক্তার (৩৫), সুজানগর, রামপাল, মুন্সীগঞ্জ ১০. তামিম (১০), সুজানগর, রামপাল, মুন্সীগঞ্জ সদর ১১. আবু গারিদ (৩৯), রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ সদর ১২. সুফিয়া বেগম (৫০), পশ্চিম পাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ সদর ১৩. মো. শহিদুল ইসলাম (৬৯), বাঘিয়া যশলং, টঙ্গিবাড়ি ১৪. মো. মিজানুর রহমান কনক (৩২), ধলগাও, রামপাল, মুন্সীগঞ্জ সদর ১৫. সত্তরঞ্জন বণিক (৬৫), রামগোপালপুর, মুন্সীগঞ্জ সদর ১৬. মো. পাপ্পু (৩২), নহর দিঘির পাড়, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ সদর ১৭. বাসুদেবনাথ (৪৫), পাইকপাড়া, টঙ্গিবাড়ি ১৮. আয়শা বেগম (৬৫), কামারখাড়া টঙ্গিবাড়ি ১৯. মো. সাইফুর রহমান উজ্জ্বল (৪০), মালপাড়া, মুন্সীগঞ্জ সদর ২০. বিউটি বেগম (৩৮), ধলগাও, রামপাল, মুন্সীগঞ্জ সদর ২১. ময়না বেগম (৩৫), টঙ্গিবাড়ি ২২. শামীম বেপারী (৪৭), আড়িয়ল, টঙ্গিবাড়ি ২৩. মো. দিদার হোসেন (৪৫), নৈদিঘির পাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ সদর ২৪. মো. মিল্লাত (৩৫), পানহাটা, মুন্সীগঞ্জ সদর ২৫. সিফাত (৮), আবদুল্লাহপুর, টঙ্গিবাড়ি ২৬. সাইদুর হোসেন (৪০), মোল্লাকান্দি, মুন্সীগঞ্জ সদর ২৭. আলম বেপারী (৩৮), তারাহাটি, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ, ২৮. ইসলাম শরীফ (৩৫), রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ সদর ২৯. মো. সাইম (১৭), তিলারদি, মুন্সীগঞ্জ সদর ৩০. হাফেজা খাতুন (৩৮), নৈদিঘির পাড়, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ সদর ৩১. তালহা (২), হাশরকাটি, টঙ্গিবাড়ি।
এছাড়াও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌবাহিনীর ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ‘মর্নিং বার্ড’ নামের লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা ৩২ জনের মরদেহ ইতিমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ‘মর্নিং বার্ড’ নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটে আসছিলো। সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদরঘাটে ঘাটে যাত্রী নামানোর ঠিক আগ মুহূর্তে ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজারের কাছে মাঝ নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় লঞ্চটি।