সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা শিথিলের আশ্বাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার রাত সোয়া ৯টার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতের দাবিতে বুধবার ঢাকাসহ সারাদেশে ধর্মঘট পালন করা হয়। চলমান এই ধর্মঘট ও সংকট নিরসনে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য তাদের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তারা আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনার জন্য সুপারিশ আকারে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা এগুলো বিবেচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।
বৈঠকে বাস-ট্রাক কাভার্ডভ্যানসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পূর্বনির্ধারিত এই বৈঠকে যোগ দিতে রাত সাড়ে ৮টার পর থেকেই বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক নেতারা মন্ত্রীর বাসভবনে আসতে শুরু করেন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ স্থগিত ও সংশোধনের দাবিসহ নয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। ট্রাক শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সড়কে চলছে হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহন।