ঈদের নামাজ শেষ করেই বাবা-মা, ভাই-বোনসহ প্রিয়জনের কবরের পাশে স্বজনরা মোনাজাত ধরেছেন অনেকেই। মোনাজাতের মধ্যে কেউ নীরবে, কেউ বা উচ্চ স্বরে কেঁদে চলেছেন। খুশির দিনেও স্বজনদের চিৎকারে ভারি হয়ে উঠেছে স্বজনদের সমাধিস্থল।
আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে শেরপুরের অনেক কবরস্থানের ভেতরে। শেরপুরের চাপাতলী কবরস্থানের ভেতরে অন্তত ৫০ জন বাবা-মা কিংবা স্বজনহারা মানুষ। সবাই কাঁদছেন। কেউ নীরবে, কেউ জোরে। কয়েকজন নারীকেও দেখা গেছে কবর জিয়ারত করতে। সবাই স্বজনদের জন্য দোয়া কামনা করছেন মহান আল্লাহুর কাছে।
শহরের খরমপুর থেকে চাপাতলী কবরস্থানে মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসেছেন রহমত আলী। সঙ্গে এসেছেন তাঁর ছোট ছেলে নিপু । রহমত আলী উচ্চ স্বরে কাঁদছেন মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে। জিয়ারত শেষে তিনি বলেন, ‘মায়ের কাছে প্রতি ঈদের নামাজ পড়েই ছুটে চলে আসি। আজও এসেছি। ঈদের দিন সব কাজের আগে মায়ের সঙ্গে দেখা না করে গেলে যেন কিছুই হয়ে ওঠে না।’ বলতে বলতে আবারও কেঁদে উঠেন রহমত।
বাবার কবর জিয়ারত করতে আসছেন রফিক মিয়া । তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা, দুই ভাই আর এক বোন এখানে শুয়ে আছেন। বলতে পারেন পুরো পরিবারই শুয়ে আছেন এখানে। এখানে এলে মনে হয় পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’ বলতে বলতে চোখ মুছেন রফিক।