শেরপুরে কৃর্তপক্ষের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ৫৪ নং নলবাইদ উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠ থেকে সাবেক সভাপতি মো.আব্দুল হামিদ কৃর্তক ২১ টি মেহগিনি গাছ কর্তন করে অর্থ আত্নসাৎ করার ঘটনায় নানা দেনদরবার শেষে অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক লতিফা পারভীন বাদী হয়ে ১১ জুন মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ।
এর আগে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় মনিরুজ্জামান সহ ৩০ জন গ্রামবাসীর সাক্ষরিত একটি অভিযোগ শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুনের দপ্তরে জমা দেয়া হয়। যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক ,পুুলিশ সুপার,প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহ নানা দপ্তরে জমা দেয়া হলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের । পরে এঘটনায় প্রধান শিক্ষক লতিফা পারভীন একটি অভিযোগ শেরপুর সদর থানায় দায়ের করলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযোগটিকে আমলে নিয়ে মুল এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি মো. আঃ হামিদ ও তার ছেলে রুমান মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠানের লাগানো মেহগিনি গাছগুলো কেটে নেয়ার পায়তারা করছিল। ঘটনার দিন স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে সরকারী প্রতিষ্ঠানে অনাধিকার প্রবেশ করে স্থানীয়দের বিধিনিষেধ অপেক্ষা করে জোর পূর্বক ২১টি মাঝারী ও বড় সাইজের মেহগনী গাছ কেটে নিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থলে এসে গাছগুলো না থাকায় স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ঘটনা জানতে পারেন ।
পরে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্বায়িতপ্রাপ্তদের পরামর্শে ঘটনার প্রতিকারে শেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা প্রাথমিক তদন্ত শেষে মূল এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এটি মূল এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।