শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় এবছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। ফলে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জন্য ১৩ হাজার ৯শত ৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
সেই ক্ষেত্রে অর্জন হয় ১৪ হাজার ২শত ৯ হেক্টর জমি এবং সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার ৬শত মে:টন (চাউল)। কিন্ত এবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ, আগাম শিলাবৃষ্টি এবং পাহাড়ী ঢলের কারণে উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ী ঢলে নিচু এলাকায় যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি উঁচু এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিলাবৃষ্টিতে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কৃষি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, এবছরের শুরুতে কৃষি বিভাগ যে সম্ভাব্য উৎপাদন এবং লক্ষ্যমাত্রার হিসাব নির্ধারণ করেছিল তা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম, জয়নাল ও জলিল জানান, অনেক কষ্টে এবং দায়-দেনা করে এবছর আমরা বোরো আবাদ করেছি। কিন্তু আগাম পাহাড়ী ঢলের ফলে আমাদের ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়েছে।
এখন আমাদের দেনা পরিশোধ করবো কি দিয়ে আর পরিবারের খাবার যোগানই বা করবো কিভাবে? উপজেলার রাংটিয়া, নকশী, কাংশা, ধানশাইলসহ প্রতিটি এলাকাতেই দেখা মেলে শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ধানক্ষেত। কাজেই কৃষকরা কাংখিত ফসল না পাওয়ার কারণে বহু কৃষক দেনাগ্রস্থ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।