গাছপালা ও পাহাড় কেটে বনভূমি ধংসের কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী মানুষ। একই সঙ্গে কক্সবাজারের ঐহিত্য ও পর্যটনের অন্যতম নিদর্শন রাখাইন জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্যাগোডাগুলোও ধসের কবলে পড়েছে।
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অন্তত ২০ হাজার ঘরবাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লক্ষাধিক মানুষ। ২০১০ সালের ১৫ জুন জেলায় পাহাড় ধসের ঘটনায় ৪ সেনা সদস্যসহ মৃত্যু হয়েছিলো ৫৪ জনের।
স্থানীয়দের দাবি, দখল করে পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা। এছাড়া, রোহিঙ্গাদের কারণে ধ্বংস হচ্ছে এলাকার বনাঞ্চল। আর, এ কারণে বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।
কিছুদিন আগে ধসের কবলে পড়ে শহরের বউল্ল্যাপাড়ার পাহাড়ের ২শ’ বছরের পুরানো প্যাগোডাগুলোও। পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয় একটি প্যাগোডার অংশ-বিশেষ ইতিমধ্যে ধসে গেছে।
পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষ ও স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম সরওয়ার কামাল।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, একই সঙ্গে প্রাণহানী যেন না হয় সেজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলায় গত ১০ বছরে পাহাড় ধসের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। চলতি বর্ষা মৌসুমেই কক্সবাজার শহরে পাহাড় ধসে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
সূত্র: DBC News
শে/টা/বা/জ