শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘লটকন’ চাষের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষি বিভাগের ভাষ্যমতে, আধো আলো আধো ছায়াযুক্ত স্যাঁতসেঁতে মাটিতে লটকন ভালো ফলে। এ উপজেলায় এমন ভূমির পরিমাণ অনেক। তাই এখানে ‘লটকন’ চাষ করে প্রচুর টাকা আয় হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এ উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মো. হামিদুল্লাহ নামে এক চাষী লটকন চাষ করেছেন। এ বছর তার বাগান থেকে প্রায় ১হাজার ৬০০ কেজি লটকন ফল উৎপাদন হতে পারে। ৭০টাকা কেজি হিসেবে এর দাম ধরা হলে উৎপাদিত লটকনের মূল্য দাঁড়াবে ১লাখ ১২ হাজার টাকা। এছাড়া হলদী গ্রামে আরও একটি বাগানে ১০০ গাছে প্রথম বারের মত এবার ফল ধরা শুরু করেছে।
ইউপি সদস্য মো. হামিদুল্লাহ জানান, ‘গত ৭ বছর আগে তার পিতৃভূমি নরসিংদী হতে ১০০টি চারা এনে রোপণ করেন। এরপর সেখান থেকে পুরুষ গাছ কর্তন করে ৩০টি গাছ টিকে রয়েছে। ওই গাছগুলোতে তিন বছর ধরে ফল ধরছে। গত বছর প্রায় ১৫হাজার টাকার ফল বিক্রি করে ছিলেন। এর আগে গাছগুলোর যতœ নেননি। এবছর কৃষি বিভাগের পরার্মশে যতœ নেওয়ায় আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারুয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মো. হামিদুল্লাহ’র লটকন বাগানে গাছের গোড়া থেকে শুরু করে ডালপালা পর্যন্ত ঝুলন্ত পুষ্পমঞ্জরিতে থোকায় থোকায় ফল ধরে আছে। প্রতিটি পুষ্পমঞ্জিরতে পাঁচ থেকে পঞ্চাশটি ফল দেখা গেছে। তার স্ত্রী রেখা বেগম বাগান ঘুরে ঘুরে ফলে রোগ-বালাই আক্রমণ করছে কিনা তা দেখছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দেশের নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও পঞ্চগড়ে লটকনের ন্যায় এ উপজেলায় লটকনের চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। লটকন চাষ করতে মাঠ পর্যায়ে চাষীদেরকে পরার্মশ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’