বিএনপি-জামায়াতের কোনো কর্মীকে নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-ঠ্যাং (পা) ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সভা করার অভিযোগে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে দুটি শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তাকে শোকজ করা হয়। কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর তাকে অথবা তার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কুমিল্লা-৬-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শোকজে উল্লেখ করা হয়, আপনি (এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার) কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ১৮ ডিসেম্বর নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের কালিয়াজুরি পিটিআই স্কুল মাঠে উঠান বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ‘যদি কোনো বিএনপি এবং জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া যায় তার হাত-ঠ্যাং(পা) ভেঙে দেবেন। আমি আ ক ম বাহাউদ্দিন আপনাদের সঙ্গে আছি।’ এমন উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। আপনার এ বক্তব্যের কারণে নির্বাচনের সুষ্ঠু, অবাধ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আপনি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ১১(ক) লঙ্ঘন করেছেন বলে দৃষ্ট হয়।
শোকজে কেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হবে না, তা ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়।
একই সঙ্গে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে কালিয়াজুরি এলাকায় উঠান বৈঠক করায় এমপি বাহারকে পৃথক আরও একটি শোকজ করা হয়। ওই শোকজেও তার ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় তাকে অথবা তার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কুমিল্লা-৬-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ওই উঠান বৈঠকে এমপি বাহার বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট। বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাবে বলে নির্বাচনে আসেনি। কোনও বিএনপি-জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তার হাত-পা ভেঙে দেবেন আপনারা। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। কোনো ভয়ের কারণ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে কুমিল্লার মানুষ।’
ইতোমধ্যে তার এ বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।