শেরপুরে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক। এই যানগুলোর বেপরোয়া চলাচল, অদক্ষ চালক, যেখানে-সেখানে ইউটার্ন নেওয়া এবং যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
০১জুলাই রবিবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইমরান হাসান রাব্বী নামে এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও গত এক মাসে পৌর শহরের ইজিবাইকের কারণে কমপক্ষে সাতটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর একটি সূত্র।
শেরপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৮টি ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পৌর এলাকায় বর্তমানে কমপক্ষে তিন গুণ ইজিবাইক চলছে। এসব ইজিবাইকের চালকেরা খুবই অদক্ষ এবং বিভিন্ন পেশা থেকে এসেছেন। শেরপুর ট্রাফিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, অদক্ষ চালক, যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণেই প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শহরের থানা মোড় এলাকায় ট্রাফিক কার্যালয়ের সার্জেন্ট মো: রুবেল মিয়া জানান, ইজিবাইক বিভিন্ন সড়কে চলাচল করলেও শহরে যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠানামা করা, অদক্ষ্য চালকের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
নবীনগর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ইজিবাইকগুলোর কারণে যানজট হয়। বেপরোয়া চলাচলের কারণে অন্য যানবাহনের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সড়কগুলোতে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কি ধারাবাহিকভাবে ঘটতেই থাকবে? প্রত্যেক ব্যক্তিই এ প্রশ্নের উত্তরে বলবেন, ‘না, এ অবস্থা আর কোনোভাবেই চলতে পারে না এবং চলতে দেওয়া যায় না।’ সুতরাং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনসহ সবার পক্ষ থেকে অতিদ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে বের করাসহ তার বাস্তবায়ন অতীব জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায় খুঁজতে হলে সর্বাগ্রে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন।