শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভ্যাপসা গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। তীব্র গরমে প্রতি দুই ঘন্টা পরপর এক ঘন্টা বা আধা ঘণ্টা করে বিদ্যুত সরবরাহ করা হলেও মাঝে মধ্যে টানা তিন চার ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে তীব্র গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে কষ্ট বেড়েছে বৃদ্ধ বয়সের মানুষ ও শিশুদের। একইসাথে রাতের বেলায় বিদ্যুত চলে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫৪ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকদের নালিতাবাড়ী ও নন্নী এলাকায় স্থাপিত দুটি সাব স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারনে এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না। স্বাভাবিক বিদ্যুত সরবরাহ না থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বার বার বিদ্যুত লাইন বন্ধ ও চালু করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক্স জিনিস। গ্রামেই সব চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা চলছে। এসব এলাকায় প্রায় এক বছর যাবত লোডশেডিং চলে আসলেও গত প্রায় ১৫ দিন যাবত ভয়াবহ অবস্থা শুরু হয়েছে। বলতে গেলে গ্রামে বিদ্যুত থাকেই না। তাই গ্রামের গ্রাহকরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ” নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুত যায় না, মাঝে মধ্যে আসে।”
এমতাবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা জানান, এখন বোরো আবাদের সেচ মৌসুম না তারপরও দিনে ৩/৪ ঘন্টাও বিদ্যুত থাকে না। চলমান পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুত বিভাগের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করতে দেখা যায় নি। তাই এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। গ্রাহকরা ইতোমধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। শুধু তাই নয় দুই এক দিনের মধ্যে দিনে কমপক্ষে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুত সরবরাহ না করা হলে বিদ্যুত অফিস ঘেরাও কর্মসুচী ঘোষণা করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে শেরপুর পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আখতারুজ্জামান বলেন, দেশেই বিদ্যুত উৎপাদন কমে গেছে। নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও এর বিপরীতে ৫/৬ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। যে কারনে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য উর্ধতন কতৃর্পক্ষকে অবগত করা হয়েছে।