শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চলমান দাবদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। তীব্র গরমে হাসফাস করছে প্রাণিকুল। গত একমাস যাবত এই উপজেলায় কোন বৃষ্টিপাতের কোন দেখা নেই। অনাবৃষ্টি আর  লোডশেডিং এর কারনে বোরো আবাদ হুমকিতে পড়েছে। প্রতি দুই ঘন্টা পরপর এক ঘন্টা করে বিদ্যুত সরবরাহ করা হলেও মাঝে মধ্যে টানা তিন চার ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে তীব্র গরম আর টানা লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে কষ্ট বেড়েছে বৃদ্ধ বয়সের মানুষ ও শিশুদের। তীব্র গরমে শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কাজে যোগদান করতে পারছেন না।
সুত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের কারনে সরকার হিট এলার্ট জারি করেছে। এর প্রভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। অতি তাপমাত্রার কারনে মানুষ স্বস্তির জন্য বিদ্যুতচালিত এসি, ফ্যান ও অন্যান্য শীতলযন্ত্র চালাতে পারছেন না। দিন যাচ্ছে আর তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে মানুষের হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে, দাবদাহের সাথে যুক্ত হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। লোডশেডিং এর কারনে বোরো আবাদ সেচ ঝুঁকিতে পড়েছে। বের হওয়া বোরোধান খেতে চাহিদা মতো সেচ দিতে পারছেন না কৃষক। এমতাবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবার্তা মানুষকে জানানো হচ্ছে।
শেরপুর পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চলমান দাবদাহের কারনে বিদ্যুতর দ্বিগুণ চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া নালিতাবাড়ীত ২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও এর বিপরীতে ৬/৭ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। তাই বোরো মৌসুমে কৃষকের খেতে স্বাভাবিক সেচ দিতে অতিরিক্ত বিদ্যুত বরাদ্দের জন্য আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকারীভাবে জারিকৃত হিটএলার্ট এর সর্তকীকরনবার্তা সাধারন মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অতি তাপমাত্রার কারনে যে কোন দুর্ঘটনার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখনপর্যন্ত গরমের কারনে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।