বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইলে বিয়ে, দেশে ফিরে ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে জেলহাজতে গেলেন প্রেমিক হামিদুল (২২) নামে এক যুবক। মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ হামিদুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। হামিদুলের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ৩ বছর আগে সৌদি আরব যান হামিদুল। বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন পর মোবাইলে পরিচয় থেকে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে হয়। গত ১৪ তারিখ দেশে আসেন হামিদুল। তাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তরুণী তার বাড়িতে নিয়ে যান। মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হামিদুল সৌদি আরব থেকে মোবাইলে ভুক্তভোগীকে মাঝে-মধ্যেই বিরক্ত করতেন। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অভিযুক্ত হামিদুল তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়ের মা খবর পেয়ে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ধরে তাকে থানায় নেয়। পরে ভুক্তভোগীকে থানা হেফাজতে রাখেন। ২১ জানুয়ারি বিকেলে শ্যামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মেলান্দহ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। ২২ জানুয়ারি দুপুরে গ্রেফতার হামিদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ ও ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, হামিদুল ওই মেয়ের বাড়িতে দুইদিন ছিলেন। পরে তাদের মাঝে মনোমালিন্য হওয়ায় সেখান থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। এ নিয়ে মেয়ের পরিবারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি। অভিযুক্তের বাবা মালেক বলেন, আমার ছেলে বিদেশ থাকতে মোবাইলে ওই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। গত শনিবার দুপুরে মেয়ে ও মেয়ের মা আমার বাড়িতে এসে মেয়েকে রেখে চলে যান। তার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ বাড়ি এসে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত হামিদুলের বাড়িতে গিয়ে মেয়ে ও হামিদুলকে আটক করে থানায় আনে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে রাতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রোববার দুপুরে হামিদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে ও মেয়েকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। #ডেইলি-বাংলাদেশ