ভারতে গর্ভপাতের অধিকার পেলেন সব নারীরা। বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, এখন থেকে বিবাহিত নারীদের পাশপাশি অবিবাহিত নারীরাও করতে পারবেন গর্ভপাত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীদের গর্ভপাতে কোনও বাধা থাকবে না। এই রায়ের প্রশংসা করছেন দেশটির নারী অধিকারকর্মীরা। ১৯৭১ সালে প্রথম গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করা হয় ভারতে। পরে ২০২১ সালে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গর্ভপাত আইনে সংশোধনও আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের সংশোধিত আইনে সাধারণ বিবাহিত নারীদের পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার, মানসিক ভারসাম্যহীন, সংখ্যালঘু, গর্ভপাতের পর বিবাহবিচ্ছেদ বা বৈধব্যের শিকার এবং যেসব নারীর ভ্রুণে গুরুতর অস্বাভাবিকতা রয়েছে, তাদেরকেও গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনে অবিবাহিত নারীদের অন্তর্ভুক্ত না করায় এতদিন গর্ভপাত আইনের সমালোচনা করে আসছিল ভারতের বিভিন্ন নারী ও মানবাধিকার সংস্থাসমূহ। বৃহস্পতিবারের আদেশের মাধ্যমে সেসব সমালোচনার যতি টানলেন সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালের সম্মিলিত বেঞ্চ আদেশে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ থেকে মুক্তিলাভ নারীর মৌলিক অধিকার। বৈবাহিক মর্যাদা এই অধিকারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। অন্য দিকে, ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিবাহিত নারীরাও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। বিনা সম্মতিতে স্বামীর আচরণে এক জন নারী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ও ‘ধর্ষণ’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন আদালত। প্রসঙ্গত, ভারতে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে আইনি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেই হিসেবে দেশটির শীর্ষ আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্য। সূত্র: এনডিটিভি