বিএনপি নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পথেই হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই পথে হেঁটে তাদের কোনো লাভ হবে না। রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শরৎকালীন পর্বের (ফল সেমিস্টার) নবীনবরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক মিছিল-সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গত ক’দিন ধরে দেখছি বিএনপি বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে। তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গতকালও মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এখন তারা নিজেরা আতংকিত এবং তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি জানে যে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এমনকি তাদের প্রান্তিক কর্মীরাও তাদের সঙ্গে নেই। তাদের কর্মসূচি শুধু ঢাকা এবং কিছু কিছু শহরভিত্তিক। গ্রামেগঞ্জে তাদের কর্মীদের কোনো সাড়া নেই। কারণ নেতাদের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এজন্য তারা আতংকিত। আর জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, সেটি তারা ভালো করেই জানে এবং বুঝে। সেজন্য তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।’ ‘জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনও তারা একই পথে হাঁটছে। এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না’—বলেন তিনি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সেই ব্যবস্থা মাঝে মধ্যে গ্রহণ করে যখন তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে, আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা নিজেদের সমাবেশ ভন্ডুল করেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ অবস্থায় আমাদের দলের কর্মীদের আমরা সতর্ক পাহারায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি যাতে কেউ জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করলে এবং জনগণ প্রতিরোধ করলে তাদের সাথে আমাদের দলও সহায়তা করবে’। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নবীনবরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান, অধ্যাপক ড. জাভেদ বারী, অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন কামাল।