মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১১ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

চিহ্নিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি

প্রকাশিত হয়েছে -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী ও রাজাকারদের কোনও সম্পত্তি স্বাধীন দেশে থাকতে পারে না, রাখারও কোনও অধিকার নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রথম ধাপ হিসেবে তাদের সম্পত্তি চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরসহ অন্যান্য প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

Advertisements

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা মাত্র চার মাসের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হয়েছি। এ প্রেক্ষিতে প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

সরকারি দলের আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি টেকসই ও ন্যায্য সমাধান চাই। পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ সরকার বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।’