মঙ্গলবার , ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে শহিদ মিনার নেই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

প্রকাশিত হয়েছে -

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার শতাধিক বিদ্যালয়গুলোতে শহিদ মিনার নেই। জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলায় ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৩টি। এর মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৫টির। অন্যদিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩৫টি। এর মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১২০টির । এ উপজেলার সর্বমোট ১৭৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩৫টি বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার নেই। হাতে গুনা মাত্র ৪৩টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে শিশু শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত অধ্যয়নরত রয়েছে প্রায় ষাট হাজার শিক্ষার্থী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের মাতৃভাষার বর্ণমালা শেখানো হয়। অখচ শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শহীদ মিনার বিহীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কোন প্রকার ধারনাই নেই।

সরকারী কোন বরাদ্দ না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। নলসন্ধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রী সালমা, বাবুল, ইসমাইল ও মামুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একুশে ফেব্রুয়ারী সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। তারা কখনো শহীদ মিনারে ভোরে-সকালে খালি পায়ে হেটে গিয়ে ফুল দিতে হয় সেটাও তারা জানে না।

Advertisements

বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কারণে তারা একুশে ফেব্রুয়ারী সম্পর্কে কিছুই জানে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিকাংশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, আমাদের আন্তরিকতা থাকলেও সরকারী বরাদ্দ না থাকার কারনে শহীদ মিনার তৈরী করা সম্ভব হচ্ছেনা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, প্রতি বছর সিøপের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকারী ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকার নির্দেশ দিলে সেই টাকা দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছোট করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা যেতে পারে। পরবর্তীতে জরুরীভিত্তিতে প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনারের ব্যাপারে সরকারকে আলাদাভাবে বরাদ্দের জন্য আবেদন জানাবো।

এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম এলাহী আকন্দ জানান, উপজেলার বেশীরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার আছে। তবে বাকী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য আগামীতে বিদ্যালয় প্রধানদের তাগিদ দেয়া হবে।