সোমবার , ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১০ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

খবর প্রকাশের পর ভর্তির আংশিক টাকা যোগার হলো ফরিদ মিয়ার

প্রকাশিত হয়েছে -

অনলাইন গণমাধ্যম শেরপুর টাইমস ডটকম সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে খবর প্রকাশের পর ভর্তির আংশিক টাকা যোগার হয়েছে হাতপাখা তৈরীর কারিগর মেধাবী ছাত্র ফরিদ মিয়ার । গেল কয়েকদিন ধারাবাহিক ভাবে শেরপুরের বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ও জাতীয় দৈনিকে মাত্র ১৩ হাজার টাকার অভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি ইউনিটে মেধা তালিকায় ৪৯ তম হওয়ার পরও ভর্তি অনিশ্চিত ফরিদ মিয়ার এমন খবর প্রকাশিত হলে তা দৃষ্টি গোচর হয় শেরপুরের বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার ।

তিনি খোজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন ।  তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তার পক্ষ থেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সোহেল রানা আজ শুক্রবার রাতে শহরের হোটেল সম্রাটে ফরিদ মিয়ার হাতে ৫ হাজার টাকা এবং ফেসবুকে পোস্ট থেকে সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাজারের জেবি এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী বেলাল হোসেন ১ হাজার টাকা মোট ৬ হাজার টাকা ফরিদকে তুলে দেন।

এসময় প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ সাহা রায়, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, আচড়ের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক কর্মী রাঙ্গা শাহিন, এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও শেরপুর টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক প্রভাষক মহিউদ্দিন সোহেল, ডিবিজি নিউজের জেলা প্রতিনিধি ইমরান হাসান রাব্বী, সাংবাদিক জাহিদুল হক মনির ও শাকিল মোরাদ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisements

উল্লেখ্য যে,সংসারের টানাপোড়েনের কারণে তাকে নবম শ্রেনীতেই ছাড়তে হয় পড়া লেখা। এমন এক সময় তার পাশে দাঁড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী উন্নয়ন সংস্থা (ডপস)।

ডপসের প্রতিষ্ঠাতা শাহীন মিয়া, বিএসপি ফরিদের পারিবারিক দুরাবস্থার চিত্র দেখে ডপস এর তালিকাভুক্ত করে তাকে আবার স্কুল মুখী করে এবং সহায়তা দেন বই, খাতা, কলমসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা। শুরু হয় ফরিদ মিয়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে চলা। ফরিদ মিয়া এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি ইউনিটে মেধা তালিকায় ৪৯ তম হয়েছে।

এব্যাপারে ফরিদ বলেন, শাহীন ভাইয়ের উৎসাহ উদ্দীপনা, সহায়তা আর দিক নির্দেশনায় আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার বড় বোন লাকী আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজে ইংলিশে অর্নাস ২য় বর্ষে আর ছোট দুই ভাইবোন শ্রীবরদীর গোপাল খিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়া লেখা করছে। সবার ছোট ভাই এবার পিএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পড়ালেখার পাশাপাশি তারা প্রত্যেকে বাবা মাকে হাত পাখা বানানো কাজে সহায়তা করে। অল্প এ আয়ে ভাই বোনদের পড়া লেখার খরচ চালাতে তার মা বাবাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।